বিএনপিনেতারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নন : হাসানুল হক ইনু
জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বিএনপিনেতারা যতই গণতন্ত্র, নির্বাচন নিয়ে হৈচৈ করুক না কেন, তারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নন। তারা প্রত্যেকেই আসলে মানুষ পোড়ানো, জঙ্গি তাণ্ডব, হত্যা-খুনের ভয়ঙ্কর সব জল্লাদ।’
আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইনু।
জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে না, তারা আসলে সমান সুযোগের নামে মানুষ পোড়ানো আসামি, জঙ্গি তাণ্ডবের আসামি, হত্যা-খুনের আসামি ও গ্রেনেড হামলার আসামিদেরকে রাজনীতির মাঠে হালাল করার প্রস্তাব নিয়ে মাতামাতি করছেন।’
জাসদ সভাপতি আরও বলেন, ‘বিএনপির গণতন্ত্রের ঠোঙাই কার্যত অপরাধীদের জায়েজ করার দর কষাকষি। বিএনপির প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছে জঘন্য সব অপরাধীদের হালাল করার সরকার হিসেবেই ভূমিকা রাখবে। এরসঙ্গে নির্বাচন, গণতন্ত্র, নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠুতার কোনো সম্পর্ক নেই।’
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, ‘ভারত-চীনসহ বেশির ভাগ দেশই নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি। নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ মন্তব্য করছেন। এই মন্তব্যের সঙ্গে তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িয়ে আছে, এর সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই।’
‘পুলিশের অত্যাচারে বাংলাদেশ রক্তাক্ত হয়েছে বিএনপিনেতাদের’—এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘পুলিশের অত্যাচারে বাংলাদেশ রক্তাক্ত জনপদ হয়নি, বাংলাদেশ ফসলের জনপদ হিসেবে, ফসলের দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। এটা বিএনপির গলাবাজি, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জাসদ সভাপতি বলেন, ‘রক্তপাত অতীতে হয়েছে, যখন বিএনপিনেতারা পরিকল্পিতভাবে মানুষ পুড়িয়েছে, জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ খুন করেছে, গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও মানুষ মারে, ক্ষমতার বাইরে থাকলেও ১৪ বছরে মানুষ মেরেছে তারা।’
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, ‘বিএনপি মানুষ পোড়ানো, জঙ্গি তাণ্ডব, হত্যা-খুনের আসামিদের একটা সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটকে মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার রাজনীতিই হচ্ছে প্রধান রাজনীতি। এখানে নির্বাচন, গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি।’
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলি, জেলা জাসদের প্রচার সম্পাদক কারশেদ আলমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।