উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
হুন্ডির মাধ্যমে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান গিরিধারী লাল মোদীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান গিরিধারী লাল মোদী, উত্তরা উইভিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গণেশ লাল মোদী, উত্তরা ট্রেডার্সের সেল সেন্টারের ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তী, মো. লিয়াকত আলী খান ও ড্রাইভার আলী হোসেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ এর (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর আসামি গিরিধারী লাল মোদী যশোরে উত্তরা ট্রেডার্সের সেল সেন্টার থেকে কিছু টাকা আনার জন্য তার চাচাতো ভাই গণেশ লাল মোদি, মো. লিয়াকত আলী খান ও ড্রাইভার আলী হোসেনকে বলেন। পরদিন আসামিরা ওই সেল সেন্টারের ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি স্যুটকেস ও কার্টনে ভরে গাড়ির পেছনে লোড করেন। এরপর তারা ওই স্যুটকেসের ওপর একটি জাম্বুরার বস্তা ও কিছু বড় বড় কচু রেখে গাড়ির বনেট বন্ধ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। গাড়িটি ফেরি পার হলে সাভারে তাদের আটক করে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গাড়ির বনেট খুলে টাকার স্যুটকেস ও কার্টন খুলে হুন্ডির টাকা জব্দ করা হয়। এসময় লিয়াকত আলী খান ও ড্রাইভার আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় আশুলিয়া থানার ইনচার্জ এস আই ইব্রাহিম খলিল ও আর্মড এসআই আমিনুল ইসলাম গাড়িটি থেকে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলেন। এরপর তাদের সোর্সদের গাড়িতে টাকাগুলো রেখে দেন এবং তা আত্মসাৎ করেন।
পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি জানতে পেরে এসআই আমিনুল ও সোর্সদের কাছ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করে সাভার থানা পুলিশ। এ বিষয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা চলমান রয়েছে।
দুদকের মামলার এজহারে বলা হয়, গাড়ি থেকে জব্দ করা মোট ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার উৎস সম্পর্কে উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান গিরিধারী লাল মোদী ও উত্তরা উইভিংয়ের এমডি গণেশ লাল মোদী কোনো কাগজ পত্র বা প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি।
আসামিরা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা যশোর থেকে ঢাকায় এনে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করার জন্য স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রমাণ পাওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।