ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, মসজিদে দোয়া
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশ ছিল প্রতিবাদে উত্তাল। জুমার পর বায়তুল মোকাররমসহ মসজিদে-মসজিদে হয়েছে বিশেষ দোয়া। আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ফিলিস্তিনিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাতে এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন মুসল্লিরা। এ সময় তারা জাতিসংঘের কড়া সমালোচনাও করেন তারা। অনেক মুসল্লির হাতে ফিলিস্তিনের পতাকাও দেখা যায়।
জাতীয় মসজিদে জুমার খুতবায় ফিলিস্তিনি শহীদদের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এদিকে, ইসলায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
আজ জুমার নামাজের পর ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, আজিমপুর, পুরান ঢাকার লালবাগ, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা। তারা ইসরায়েলের আগ্রাসন, বিনা কারণে হামলা ও নির্বিচারে নারী-শিশুকে হত্যার বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েল নিপাত যাক বলেও স্লোগান দেন।
নামাজের পর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের মোড়ের আল্লাহ করিম মসজিদসহ কয়েকটি মসজিদের মুসল্লিরা তিন রাস্তায় জড়ো হন। এরপর তারা হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে শুরু হয়ে মোহাম্মদপুর শংকরের দিকে এগিয়ে যায়।
এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মুসল্লিদের বিক্ষোভে রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকলেও মিছিলে বাধা দেয়নি।