নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ২৯ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর ও হাইমচরে পৃথক অভিযানে আটক ২৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় তাদের এ কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা। সন্ধ্যায় হাইমচরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী ও এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর সদর উপজেলা এলাকায় বেলা ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১৬ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় পাঁচ হাজার মিটার কারেন্টজাল এবং একটি মাছ ধরার নৌকা।
এ সময় আটক জেলেদের ১০ দিনে করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
অভিযানে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসানসহ কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের দুটি দল উপস্থিত ছিল।
অপরদিকে হাইমচর উপজেলায় অভিযানের তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুব রশীদ। তিনি জানান, একই সময়ে হাইমচরে উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে আটক হয়েছে ১৩ জেলে। জব্দ করা হয়েছে ১৫ হাজার মিটার কারেন্টজাল, তিনটি মাছ ধরার নৌকা ও ২৫ কেজি ইলিশ মাছ। আটক জেলেদের সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং কারেন্টজাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।