বিদেশফেরত স্বামীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্ত্রী-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার মদনে বিদেশফেরত স্বামী এখলাছ মিয়াকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী মোছা. মুক্তা আক্তার ও শাশুড়ি মোছা. লুৎফুন নেছাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান, র্যাব-১৪ সদর ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক ও অপারেশন্স অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে তাঁর নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল ময়মনসিংহ মহনগরীর সানকিপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, আনুমানিক ছয় বছর আগে জেলার কেন্দুয়ার পাছার (মাইজপাড়া) গ্রামের মৃত আলী আমজাদ খাঁর ছেলে ভুক্তভোগী এখলাছ মিয়ার সঙ্গে মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয়। মুক্তা আক্তারের বাড়ি একই জেলার মদন উপজেলার বাড়রী (সুতিয়ারপাড়) গ্রামে। এখলাছ মিয়া বিয়ের এক বছর পর জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমান বিদেশে। এ সময় মুক্তা আক্তার তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন এবং এখলাছ বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ তাঁর কাছে পাঠাতেন। পাঁচ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর তিনি দেশে ফেরত আসেন। উপার্জিত অর্থসহ স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে আনতে শশুরবাড়িতে যান। টাকা-পয়সাসহ স্ত্রীকে ফেরত আনার কথা বললে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ অজ্ঞাত পরিচয় তিন-চারজন এখলাছের হাত-পা বেঁধে পেট্রল দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ১৮ তারিখ মারা যান এখলাছ মিয়া। এর আগে এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মদন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও শাশুড়িকে মদন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাওহীদুর রহমান জানান, দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।