রাজধানীতে বিএনপির ১০৯ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
নাশকতার বিভিন্ন মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক তিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই রায় দেন। এদিন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪৯ জন আসামি খালাসও পেয়েছেন।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার মামলায় বিএনপির ২২ জনকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান।
এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামির তালিকায় রয়েছেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মানিক, ধানমণ্ডি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, হাজারীবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান মজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন, হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুর রহমান শিবলু।
এদিকে কামরাঙ্গীচর থানার আরেকটি মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী। রায়ে বিচারক দুই আসামি মো. নাঈম (৪২) ও মো. গাফফারকে (৪৩) তিন ধারায় চার বছর কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা করেছেন এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড ভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর তিন আসামি জাবেদ, শহিদুল হক ও মো. আইয়ুবকে একবছর তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। ছাড়া একই মামলায় ১৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় মিছিল করে বিএনপি। মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে ঘটনার দিনই কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মো. মাহফুজার রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৯ সালের ৩১ মে এসআই মো. আহসান হাবীব ২৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অপরদিকে একই আদালত হাজারীবাগ থানার অপর একটি মামলায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় খালাসের রায় দিয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশের এসআই মো. মনিরুজ্জামান। পরে মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লন্ডন চৌধুরী।
এছাড়া একই দিনে রাজধানীর গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। এদিকে, রাজধানীর উত্তরখান থানার দুই মামলায় বিএনপির ৬৭ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন।
নথি থেকে জানা গেছে, বিচারক বিএনপির ৬৭ জনকে দুই বছর একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ।