গজারিয়ায় স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগসমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্রপ্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের ছয় সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরের আড়াইটার দিকে নতুন চর চাষীঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মোকলেস খান (৪০), মোশাররফ (৪৩), নিজাম উদ্দিন (৪২), মহিউদ্দিন মোল্লা (৪০), হেলাল সরকার (৪০) ও কাউসার খান (৩৬)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য জমু মিয়া বলেন, আমরা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাজি ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে নতুন চরচাষীঘাট এলাকায় আমরা নির্বাচনে করণীয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতীক বরাদ্দের পর আমরা কীভাবে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাব—এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে দুপুর পৌনে ৩টার সময় ৪০-৫০ হঠাৎ করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক।
হামলায় আহত গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, ব্যবসায়িক কারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকনের সঙ্গে আমার বিরোধ চলছিল। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তার লোকের মাধ্যমে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে আমি তা দিতে স্বীকৃতি জানাই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিই আর চেয়ারম্যান অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের পক্ষে। আজ অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা আমিসহ ছয়জনকে পিটিয়ে আহত করে এবং একটি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়।
বিষয়টি সম্পর্কে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘মহিউদ্দিন মোল্লার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মহিউদ্দিন মোল্লা ও তাঁর লোকজন আমার এক কর্মীকে মারধর করে। তাঁকে মারধর করার খবর শুনে আমার কিছু সমর্থক তাঁকে উদ্ধার করতে আসে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। আমার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, এই কথা সত্য নয়।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খন্দকার আরশাদ কবির বলেন, ‘বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আমাদের হাসপাতালে পাঁচজন রোগী নিয়ে আসা হয়। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি দিয়েছি। কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজিব খান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরিস্থিতির বর্তমানে শান্ত রয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় যে দোষী তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।