পিরোজপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি রাজধানীতে গ্রেপ্তার
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন বাদুরা এলাকায় বসবাসকারী মো. জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতের সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে একই এলাকায় বসবাসকারী সাগরসহ কয়েক জনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩ জানুয়ারি সাগর ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীরে ওপর হামলা করে। এ সময় সাগর ও তার অন্যান্য সহযোগীরা তাদের কাছে থাকা চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও লাঠি-সোটা দিয়ে জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতকে এলোপাথাড়িভাবে বেধরক মারধর করতে থাকে।
মারধরের একপর্যায় জাহাঙ্গীরের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে সাগর ও তার অন্যান্য সহযোগীরা জাহাঙ্গীরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে জাহাঙ্গীরকে চিকিৎসার জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। জাহাঙ্গীরের অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উল্লেখিত হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ৪ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই মারা যান তিনি।
আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) র্যাব-১০-এর অপারেশন অফিসার উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্যের পাশাপাশি জানান, এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বুলু বেগম (৫০) বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় সাগর হাওলাদারসহ (২০) সাতজন ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব-১০-এর একটি আভিযানিক দল ওই আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরপর আজ দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার খোলামুড়া এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মো. সাগর হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে।