ট্রাফিক সার্জেন্টদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা দরকার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে ট্রাফিক সার্জেন্টদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের ট্রাফিক সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকেন। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের কাছে অনুরোধ, তাদের জন্য একটু বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দেন। তাহলে ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে। তাদের সেবার পরিধি বাড়বে। আরও দক্ষতার সঙ্গে সব কিছু মোকাবিলা করবেন। আমার বিশ্বাস, ডিএমপি আরও দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করবে। ডিএমপি আরও এগিয়ে যাব।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এই জায়গায় (রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে) এসে মনে হয়, সেই দিনের (২৫ মার্চ) কথা। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে যে ডাক দিয়েছিলেন, সেই ডাকে পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। অনেক পুলিশ সদস্য সেদিন শহীদ হয়েছিলেন। তারা জানতেন না, যুদ্ধে জয়ী হবেন কি না! কিন্তু তারা নৈতিকতা ও স্বাধীনতার জন্য প্রথম যে কাজটা করেছিলেন, সেটা আমাদের রাষ্ট্রে উদাহরণ হয়ে আছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পুলিশ জনগণের পুলিশ হবে। আজকে আমাদের পুলিশ, জনগণের পুলিশ হয়েছে। জনগণের জন্য তারা সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। ২০ বছর আগের পুলিশের কথা যদি চিন্তা করি, সেই সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেতো। আজ কিন্তু মানুষ পুলিশকে বন্ধু ভাবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশ ৫০টি থানায় ৩৪ হাজার জনবল নিয়ে ঢাকায় বসবাস করা নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল দুই লাখ ১০ হাজারেরও বেশি। প্রতিটি পুলিশ ৮২৫ জন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ডিএমপির যতগুলো ইউনিট আছে, সবগুলো খুব সুন্দর কাজ করছে। জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল, সেজন্য আমরা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন করেছিলাম। আমরা সাইবার ইউনিট তৈরি করেছিলাম। ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তুলেছিলাম। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক ইউনিট করেছি, যা ডিএমপি কমিশনারের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে।’
মানুষ পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে। কোভিডের সময় আপনারা দেখেছেন, মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পুলিশই তাদের শেষ কার্যটি করেছে। কাজেই, পুলিশ এমনই একটি আস্থার জায়গায় এসেছে। আমরা মনে করি, বিপদে-আপদে সবসময় তারা আমাদের পাশে আছে। ডিএমপিও সেই কাজটিই করছে ঢাকা নগরীর জন্য।’