মিয়ানমারের দেড় শতাধিক বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিল বাংলাদেশে
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত পথে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জামছড়ি স্কুলে রাখা হবে। আজ সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ তথ্য মিলেছে।
জনপ্রতিনিধি ও বিজিবি জানিয়েছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের আষাঢ়তলী-জামছড়ি সীমান্তপথে মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় চান। বিজিবি অনুপ্রবেশকারীদের নিরস্ত্র করা হয়। তারা জামছড়ি বিজিবি ক্যাম্প হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার বলেন, ‘ওপারে চলমান সংঘাতে বিজিপির ১৭৭ সদস্য জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা আষাঢ়তলী এলাকায় নুরুল আলম কোম্পানির লেবু বাগান হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ইমিগ্রেশনের ১৭৭ সদস্য অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে জামছড়ি বিজিবি ক্যাম্প হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদের পরবর্তী সময়ে জামছড়ি বিজিবি প্রাইমারি স্কুলে রাখা হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যহত না হয় বিষয়টি সতর্কভাবে দেখা হচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের পুনরায় ফেরত পাঠানো হবে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ বিজিপি সদস্য। পরে গত মাসের ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।