স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার আজ সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার দেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের কাছে ২০২৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পদক বিজয়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা এ পদক নেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন পুরস্কার পাচ্ছেন। এছাড়া সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন ও সমাজসেবায় তিনজনকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদক দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)। ফজলুল হকের পক্ষে তার ছেলে এম এম পলাশ এবং নঈম মো. নজিব উদ্দীনের পক্ষে তার ভাই কায়সার খান পুরস্কার গ্রহণ করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
সমাজসেবায় পুরস্কার পেয়েছেন অরণ্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত সুধীজনের নাম ঘোষণা ও পরিচিতি পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সংস্কৃতিতে পুরস্কার পাওয়া মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান প্রতিক্রিয়া জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।