দুদকের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা-১ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সংসদ সদস্য ডা. কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া বিচারক সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ওই ধারার অপরাধ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, এদিন রায়ের আগে কাদের খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, গাইবান্ধা-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলামকে (লিটন) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন কাদের খান। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাকে বগুড়া শহরের বাসায় ছয় দিন ‘নজরবন্দি’ করে রাখার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর কয়েক দিন পরেই কাদের খানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬মে রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে আবদুল কাদের খান ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকা গোপন করেন। এরপরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।