হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টানা ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক হয়েছে বন্দরের অভ্যন্তরীণ সব ধরনের কার্যক্রম। সকাল ১১টায় ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। এরপর ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড হয়ে বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে বন্দরে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চালু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
হারুন উর রশিদ আরও জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে আলুসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আজ থেকে দেশের স্থল বন্দরগুলো দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সেসব পণ্যের দাম কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, সকাল ১১টা থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকগুলো ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারী ও শ্রমিকেদের মধ্যে ব্যস্ততা বেড়েছে। যেসব পণ্যের কাস্টমস শুল্ককর পরিশোধের চালান আমাদের কাছে আসছে আমরা তা দেখে দ্রুততার সঙ্গে সেসব পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাকগুলোকে ওয়্যারহাউজ থেকে বের হওয়ার অনুমতি দিচ্ছি। ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটির কারণে হিলি দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের একজন রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার শুরু হয়েছে। কিছু পণ্য ছাড়করণের জন্য ব্যবসায়ীরা অফিসে কাগজপত্র দাখিল করেছে। আমদানি করা পণ্যের সঠিকতা যাচাই ও মূল্য নির্ধারণের পর রাজস্ব পরিশোধ সাপেক্ষে ব্যবসায়ীদের পণ্য ছাড়করণ করা হচ্ছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। কিন্তু এই সময়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভিসা-পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বাংলাদেশ-ভারত পারাপার চলমান ছিল। যা অব্যাহত আছে।