নড়াইলে সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াই
প্রচণ্ড গরমে নড়াইলে সুলতান মেলায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শহরের কুড়ির ডোব মাঠে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা।
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সুলতান মেলায় কিউট গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসবের অংশ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী এ ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও এস.এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৬টি ষাঁড় অংশ নেয়। লড়াইয়ে অংশ নেওয়া প্রতিটি ষাঁড়ই ছিল সুঠাম দেহের ও বাহারি রঙের। লড়াই দেখতে আসা জেলার বিভিন্ন প্রান্তসহ দূর দূরান্ত থেকে নানা বয়সী হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাঠটি।
যশোরের অভয়নগর থেকে আসা সূর্য কুমার বলেন, অনেক কষ্ট করে প্রতিবছর সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসি। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে,প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে এসেছি।
সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ষাঁড়ের লড়াই আগে অনেক জায়গায় হতো, এখন হয় না। এই সুলতান মেলায় প্রতিবছর হয়। তাই অনেক মানুষ এসেছি, ষাঁড়ের লড়াই দেখছি, খুব ভালো লাগছে।
এদিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া উৎসবের নবজাগরণের উদ্দেশে সুলতান মেলায় এসব খেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান মেলা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সুলতান মেলার ‘কিউট গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মন্নু বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মে কাছে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া যে ক্রীড়া উৎসব রয়েছে সেগুলোর নবজাগরণ সৃষ্টি করা। নতুন প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। তারা মাদক থেকে সরে এসে খেলাধুলা এবং লেখাপড়ায় আসুক এবং নিজেরা আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি হোক সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
গত ১৫ এপ্রিল নড়াইলের সুলতান মঞ্চে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। মেলার পাশাপাশি পাশের কুড়ির ডোব মাঠে ‘কিউট গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব’ শিরোনামে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আগামী ২৯ এপ্রিল এ মেলা শেষ হবে।