ময়মনসিংহ ক্রীড়াপল্লীতে জুয়ার আসর বন্ধের দাবি সংসদ সদস্যের
ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন আবুল মনসুর সড়কের ক্রীড়াপল্লীতে জমজমাট জুয়ার আসর চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। জুয়া খেলতে এসে সর্বস্বান্ত হচ্ছে হাজারো মানুষ। জুয়ার টাকা জোগার করতে গিয়ে জুয়াড়িরা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি সামাজিক অপরাধ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুয়ার বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা । ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য অবিলম্বে জুয়ার আসর বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির দাবি তাকে কেউ জানায়নি।
উৎপল কর নামে সাবেক বিজিএমই কর্মকর্তা ও ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট জুয়া নিয়ে গত শুক্রবার দুপুরে নিজের টাইমলাইনে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি তাতে লিখেন, ‘ডিসি সাহেব, সার্কিট হাউস মাঠ নয়, কাইন্ডলি আশপাশের ক্লাবগুলোর রাতভর জুয়ার আসর বন্ধ করা নিয়ে ভাবুন। আপনি শুধু রাত এগারটার পর ক্রীড়াপল্লীর ক্লাবগুলোয় অভিযানের নির্দেশ দিন। দেখবেন জুয়ার বোর্ডে কত টাকা ওড়ে। এগুলো থামান প্লিজ। অপরাধ বাড়ছে । নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার।’
উৎপল করের এ পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। তাঁর অভিযোগ ক্রীড়াপল্লীতে প্রতিটি ক্লাবঘরে চলছে রমরমা জুয়া। তিনি জুয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র্যাপিডন অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে পোস্ট দাতা উৎপল কর বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে সমাজের যেকোনো অপরাধ, অসঙ্গতি দেখলে তা প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। আমি সচেতন নাগরিক হিসেবে সেটাই করেছি। দরকার হলে জুয়া বন্ধে আরও কঠোর কিছু করতেও তৈরি আছি।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ক্রীড়া পল্লীর ক্লাবগুলো কিছু জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং কিছু ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণে। তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সিটি করপোরেশনের কাছে অবিলম্বে ক্রীড়াপল্লীর ক্লাবে চলা জুয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে রবিবার ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী বলেন, আমাকে অনুষ্ঠানিকভাবে কেউ জানালে আমি ব্যবস্থা নিব। ফেসবুকে কারো লেখা দেখে আমি ব্যবস্থা নিতে পারি না।
আবুল মনসুর সড়কে ২০টি ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব ক্লাবে এর আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার অভিযান চালিয়ে জুয়াড়ি আটক, নগদ টাকা ও জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার উদ্ধার করে। এর ফলে দীর্ঘদিন জুয়া বন্ধ থাকলেও ফের চালু হয়েছে বলে জানান উৎপল কর।