ময়মনসিংহে তিন দিনব্যাপী নজরুলজয়ন্তী শুরু
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জয়ন্তী উৎসব ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুল মাঠের নজরুল অডিটরিয়ামে শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো মহিববুর রহমান।
অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নজরুল মেলা, বই মেলা ও গ্রামীণ ঐতিহ্যে নিয়ে বিশেষ মেলা।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’। সকাল ১০টায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁর কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তাঁর বিদ্রোহী অভিব্যক্তি ধর্ম ও রাজনীতির নামে অনমনীয় গোঁড়ামি পর্যন্ত প্রসারিত। জাতীয় কবি ছিলেন বিদ্রোহী বাঙালির প্রতিচ্ছবি।
প্রধান অতিথি বলেন, নজরুল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে নানাদিক দিয়ে করেছেন সমৃদ্ধ ও মজবুত। কলম বন্দুকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে, তা তিনি প্রমাণ করেছেন ক্ষুরধার আগুনঝরা লেখনির দ্বারা। তাঁর অসাম্প্রদায়িক জীবনদর্শন অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, সুখী- সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এ সময় প্রধান অতিথি ত্রিশাল উপজেলার ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বই উপহার দেন।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, এ বি এম আনিছুজ্জামান, নীলুফা আনজুম পপিসহ নজরুল বোদ্ধারা।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য দেন বিশিষ্ট লেখক ও নজরুল গবেষক মো. এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।
এর আগে প্রধান অতিথি অন্য অতিথিদের নিয়ে দরিরামপুর স্কুল মাঠে নজরুল বই মেলা ও গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন ও স্টল ঘুরে দেখেন।