মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের অনুসন্ধান শুরু করেছে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া মতিউর রহমানকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরপি) সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৩ জুন) মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এরপরই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন মতিউর রহমান। এরই মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে বিষয়টি মতিউর রহমানকে জানিয়েছে। সোনালী ব্যাংকের সিইও আফজাল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ঈদের ছুটির পর এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি মতিউর রহমান। সকালে ভ্যাট ও কাস্টমস আপিলেট ট্রাইব্যুনালে তাকে পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ দেননি মতিউর রহমান।
সম্প্রতি কুরবানির জন্য ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে, শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান।
এ বিষয়ে মতিউর রহমান বলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি। সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাব।
যদিও এরপর ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।