নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা : জেলহাজতে উপজেলা চেয়ারম্যান
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে যুবক নিহতের মামলার অন্যতম আসামি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৩০ জুন) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. কামরুল হাসান জামিন আবেদন নাকচ করে কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ মে কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুল উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন।
গত ৮ মে প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনের পর ১৪ মে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে উপজেলা পরিষদের পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার সমর্থক ছবেদ আলী ভূঁইয়া ও নবনির্বাচিত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলের সমর্থক চয়ন ভুইয়ার মধ্যে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার সমর্থক ওয়াছিকুর রহমান নামে এক যুবক গুলিতে নিহত হয়। ঘটনার তিনদিন পর নিহতের বোন পারুল বেগম গোপালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুলকে প্রধানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওয়াছিকুর হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।