গ্রেপ্তার নয়, ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ সংগ্রহ করতে ব্যারিস্টার মইনুলের বাসায় যায় পুলিশ
এনটিভি অনলাইনে গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) প্রকাশিত ‘প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে বাসায় পুলিশ’ শিরোনামে প্রতিবেদনের বিষয়ে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং জানায়, ব্যারিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসায় পুলিশ যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, তার বাসায় ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে যায় পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাসায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যায়নি, বরং আদালতের আদেশ অনুসারে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়েই গিয়েছিল। ২০১৮ সালে দায়ের করা একটি মামলা থেকে প্রয়াত এই আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশনার আলোকে তার মৃত্যু সনদ সংগ্রহের লক্ষ্যেই পুলিশের একটি টিম ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাসায় গিয়েছিল।
প্রকাশিত সংবাদের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি এড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিটি তুলে ধরা হলো–
“আজ (বুধবার) দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক দেশ রূপান্তর, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক নয়া দিগন্ত, এনটিভি অনলাইন ও সাম্প্রতিক দেশকালসহ বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আসল তথ্য যাচাই-বাছাই না করে “প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তার করতে বাসায় পুলিশ” শিরোনাম একটি সংবাদ পরিবেশন করেছে।
আদালতের নথি যাচাই করে দেখা যায়, প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০১৮ সালের ‘সিআর মামলা নং ২০৭১/২০১৮ (কোতোয়ালি)’ মামলার একজন আসামি। প্রয়াত আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার স্বার্থে ‘ম্যাজিস্ট্রেটের রেকর্ডের জন্য আদেশনামা’ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আসামির মৃত্যুবরণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, গুলশান থানা, ঢাকা আদেশপ্রাপ্ত হয়েছেন। আদালতের আদেশ পালনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ আসামির ঠিকানায় ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ সংগ্রহ করার জন্য যায়।
আমরা মনে করি, প্রকাশিত সংবাদ শিরোনামটি বস্তুনিষ্ঠ ঘটনাটিকে পাশ কাটিয়ে অসত্যভাবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। তবে আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি, কয়েকটি গণমাধ্যম সঠিক বিষয়ের সাথে প্রয়াত মঈনুল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের প্রতিক্রিয়া তুলে এনেছে। এমতাবস্থায়, জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার স্বার্থে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সংশোধিত সংবাদ পরিবেশনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল। আদালত থেকে প্রাপ্ত একটি নথি সংযুক্ত করা হলো।”