রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর গবেষণার ফলাফল প্রচার
পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) একটি অনুসন্ধানমূলক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। রাজধানীর গুলশান-২ এর ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ‘বাংলাদেশের উপকূলীয় ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবায় অভিগম্যতা, প্রয়োজনীয়তা ও বাধা’ শীর্ষক গবেষণার ফল প্রকাশ করে।
এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো গ্রহণের করার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর যে সকল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তার ওপর আলোকপাত করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য পরিষেবা পাওয়ার হার উন্নত করার বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইফুল্লাহিল আজম। তিনি তার বক্তব্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবেশাধিকারযোগ্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজারস্থ আরআরআরসি (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (মানবিক) নিক ম্যাকলিন এবং সাবেক সচিব ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।
প্রত্যেকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো প্রদানে কীভাবে পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে হয় এবং এই অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়সঙ্গত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো নিশ্চিত করতে হয়; সে সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
অধিবেশন শুরু হয় গবেষণা দলের প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর প্রফেসর ড. বেল্লাল হোসেন একটি উপস্থাপনা দিয়ে। তারপরে সম্মানিত বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজনের সমন্বয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আইপিপিএফের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. অর্পিতা দাস, ফেন্ডশিপ ইন্টারন্যাশনালের স্ট্রাটেজিক, লার্নিং এন্ড হেড অব ক্লাইমেট অ্যাকশন কাজী এমদাদুল হক, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর আল মামুন ও আইপিপিএফের এওসি ফয়সাল সাব্বির।
প্যানেল আলোচনায় বক্তারা চিহ্নিত বাধাগুলো মোকাবিলা করতে এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবায় অভিগম্যতা বাড়াতে কার্যকরী সুপারিশ প্রদান করেন।
পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার-এর নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ স্বাগত বক্তব্যে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য এবং স্বাস্থ্যসেবা অবস্থার উন্নত করতে অংশীদারত্ব বৃদ্ধির জন্য সংস্থার চলমান প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তিনি প্যানেল আলোচনায় সহায়কের ভূমিকা পালন করেন ও অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সূক্ষ্মদৃষ্টিতে আলোচনায় অবদান রাখতে উত্সাহিত করেন।
পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার একটি অলাভজনক সংস্থা, যার ৪৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে সারাদেশে, স্বাস্থ্য সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ধারাবাহিকভাবে সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে।