চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে পাবিপ্রবি ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তাঁর সাবেক প্রেমিক ও দুই সহযোগী। এ ঘটনায় মামলার পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল সালাম আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শহরের কালাচাঁদপাড়া এলাকার মেহেদী মাসুদ (২৬), চক রামচন্দ্রপুর এলাকার মাহমুদুল হাসান সাজিদ (২৩) ও শালগাড়িয়া ফরেস্টপাড়া এলাকার হারুন অর রশিদ (২৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী পাবিপ্রবির ছাত্রী। ২০২২ সালে কালাচাঁদপাড়া এলাকার মেহেদী মাসুদের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের চাপে মেহেদী অন্যত্র বিয়ে করায় চলতি বছর মে মাসে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে মেহেদী হাসান চা খাওয়ার নাম করে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন। এরপর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মেরিল বাইপাসের ফরেস্ট এলাকায় নিয়ে যান৷ সেখানে পরিকল্পিতভাবে ফরেস্টের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে তিনজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপরে তাঁকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে পালিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন ওই ছাত্রী।
সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ‘ছাত্রীর মা গতকাল মঙ্গলবার রাতে লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার করা তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে পাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর এস এম আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিষয়টি সবেমাত্র আমরা জেনেছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ভিকটিমের পরিবারকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।