আরও সাড়ে ৩ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের
সরকার আরও সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আনা এ বিষয়ে প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিশ্ব বাজার থেকে এলএনজি কেনার দুটি পৃথক প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে গত বুধবার একই কমিটি জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এর আগে ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য একই ধরনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
চাল আমদানির সর্বশেষ অনুমোদনের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যেকোনো সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতির ঝুঁকি হ্রাস করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৈঠকে দুটি কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে সম্পর্কে ব্রিফ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমরা দেশে খাদ্য সংকটজনিত ঝুঁকি রোধে উদ্যোগ নিয়েছি।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আনা প্রস্তাব অনুযায়ী—ভারতের পাঞ্জাব স্টেট সিভিল সাপ্লাই করপোরেশন থেকে দেড় লাখ টন সেদ্ধ চাল, থাইল্যান্ডের সাকোন্নাক্ষণ ন্যাশনাল ফারমার্স কাউন্সিলের কাছ থেকে দেড় লাখ টন একই ধরনের চাল এবং ভিয়েতনামের সাদার্ন ফুড করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করবে খাদ্য অধিদপ্তর।
‘চালের দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি এবং এগুলো জি টু জি চুক্তিতে আমদানি করা হবে,’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ওই সব দেশের দূতাবাসগুলোকে সরকারের সঙ্গে দাম নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
দাম চূড়ান্ত করার পর আমদানির প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে আবারও তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
পাশাপাশি বিশ্ব বাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার পৃথক দুটি প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী- এওটি ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ৮ দশমিক ৩৪৫ ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনা হচ্ছে। ভ্যাট, ট্যাক্সসহ এতে মোট খরচ হচ্ছে ২৭৮.৭০ কোটি টাকা। আর সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া থেকে একই পরিমাণ কেনা হবে। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ৭ দশমিক ২১ ডলার। ভ্যাট, ট্যাক্সসহ এতে মোট খরচ হচ্ছে ২৪৮.৫৩ কোটি টাকা।
ক্রয় কমিটির বৈঠকে নির্মাণাধীন ‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’-এ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৩৬.২৪ কোটি টাকার চুক্তিটি মঈনুদ্দিন লিমিটেডকে দেওয়া হয়েছে।