মোবাইল ফোন পাল্টে দিচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং
মোবাইল ফোনে সব লেনদেন ব্যাংকের অধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ওই প্রতিষ্ঠানের পুঁজি হতে হবে ১০০ কোটি টাকা (এক কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার)। এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষও ব্যাংকিংসেবায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। গত বৃহস্পতিবার অর্থনীতির সংবাদবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এক সাংক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
সাক্ষাৎকারে আতিউর রহমান বলেন, দেশে অনেক উদ্যোক্তা আছেন যাঁরা প্রথাগত ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সচেতন উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনে অর্থ লেনদেন বিস্তৃত হচ্ছে। মোবাইলে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশ। দরিদ্র মানুষের কাছে এই সেবা পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে আরো দৃঢ় হচ্ছে এই সেবা।
বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের অনেকেই এখন ব্যাংকের চেয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেনকে প্রাধান্য দেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আর দেশের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশই এখন মোবাইল ব্যবহার করেন। আর বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা দেশের অর্থনীতির ১০ শতাংশ।
শুধু মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতেই পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশে। আর কৃষিকে দেওয়া হয়েছে অগ্রাধিকার। প্রতিটি ব্যাংকে ২৫ শতাংশ ঋণ কৃষি খাতে দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর কৃষকরা মাত্র ১০ টাকায় (দশমিক ১৩ মার্কিন ডলার) ব্যাংক হিসাব খুলতে পারেন।
ব্যাংকিং-সেবাবঞ্চিতদের এই সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অনেক আগে থেকে সক্রিয়। এই প্রক্রিয়ায় জোর দিয়েছেন আতিউর রহমান। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খোলার নির্দেশ দেন তিনি। ২০১১ সালে তিনি মোবাইল ব্যাংকিং অনুমোদন করেন। ২৮টি ব্যাংককে মোবাইলকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ২০টি ব্যাংক তাদের মোবাইল ব্যাংকিং-সেবা চালু করেছে।