সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি উদোক্ত্যাদের এগিয়ে আসতে হবে
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিস্তৃত করতে সরকার অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর পরিধি বাড়াতে সামনে আরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এখন এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি উদোক্ত্যাদের এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এ খাতে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে হবে। আমরা যদি যথাযথভাবে খাতটিতে কাজ করতে পারি, তাহলে দেশিয় চাহিদা মিটিয়ে সেমিকন্ডাক্টর হবে আমাদের অন্যতম রপ্তানিমুখী শিল্পখাত।
আজ বৃহস্পতিবার (মে ১৬) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কনফারেন্স হলে, বিডা ও আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং এলএলপির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় সভপাতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া।
সালমান ফজলুর রহমান বলেন, সেমিকন্ডাক্টর (মাইক্রোচিপ) বর্তমান বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সামনে যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন তুলে ধরেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই আমাদের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, সেমিকন্ডাক্টর সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সিস্টেমের মগজ হিসাবে কাজ করে, তাই একে প্রযুক্তির লাইফলাইন বলা হয়। আমাদের অবস্থান এশিয়া -প্যাসিফিক অঞ্চলের সাপ্লাই চেইনের কাছাকাছি হওয়ায় সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিকাশের সীমাহীন সুযোগ আমাদের রয়েছে। এশিল্প বিকশিত হলে আমাদের মেধাবী তরুণি প্রজন্মের জন্য দারুণ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিডার নির্বাহী সদস্য মিজ মোহসিনা ইয়াসমিন এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং এলএলপির অভিষেক গুপ্ত। তিনি বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ভ্যালু চেইন এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সম্ভাব্য সেক্টরের উপর আলোচনা করেন।