ছাত্রলীগনেতা ইমাম বাকেরকে চুয়েট শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পাঠাগার সম্পাদক ও চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকেরকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ এবং ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরাফাত রহমান ও হুমায়ুন কবির,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য রাজীব বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। গতকাল সকালে চুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে পৌঁছালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এরপর তাকে নিয়ে চুয়েট ছাত্রলীগ এক আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় আমি বাকেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের একজন ছাত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে চুয়েটের নাম প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। চুয়েটেকে এগিয়ে নিতে ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি একাডেমিকভাবেও সবাই সোচ্চার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, এ রকম একটি অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ রকম অনুষ্ঠান আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ছাত্রলীগ কাজ করে যাবে। চুয়েট ছাত্রলীগ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাক সেই কামনা করছি। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগনেতা সৈয়দ ইমাম বাকের বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চুয়েট ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য চুয়েট ছাত্রলীগ সর্বদাই বদ্ধপরিকর। আজ বাংলাদেশের বুকে চুয়েট ছাত্রলীগ একটি পরিচিত নাম।