‘আচরণগত দিক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন নয়’
নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ কেবল কাঠামোগতভাবেই স্বাধীন। কিন্তু কাজের দিক বা আচরণগত দিক দিয়ে সম্পূর্ন স্বাধীন নয়। কমিশনার নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষেত্রেও নেই কোনো নীতিমালা।’
আজ বুধবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এবং ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক ড. মো. আবদুল আলিম।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সব শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সেমিনারে বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকেরা নির্বাচন ও সুশাসন নিয়ে বিভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলিম নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন সংক্রান্ত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা আবশ্যক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কমিশনের স্বাধীনতার সাথে নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে তাকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘দেশের সুশাসন ও গণতন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জীবন সুশাসনের বাইরে থাকতে পারে না। এর বিপরীত হলেই বিঘ্নিত হয় সামগ্রিক পরিবেশ।’
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেন, বিভাগীয় সভাপতি বশির আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক নইম সুলতান, ড. মো. বশিরউল্লাহ, অধ্যাপক শামছুল আলম, মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন, অধ্যাপক বশির আহমেদ, ড. সামসুন্নাহার খানম, অধ্যাপক নইম সুলতান, ড. নাসরীন সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান এবং ড. হাসিবুর রহমান।