‘মাছ এখন প্রয়োজনের তুলনায় উদ্বৃত্ত’
‘বাংলাদেশের মানুষ সাত কোটি থাকা অবস্থায়ও মাছের চাহিদা পূরণ হয়নি, কিন্তু এখন সেই মানুষের সংখ্যা ১৬ কোটি পেরোলেও মাছ এখন প্রয়োজনের তুলনায় উদ্বৃত্ত।’
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শাহেদ আলী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফিশারিজ সমিতি ও রাজশাহী মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শাহেদ আলী।
শাহেদ আলী রাজশাহী অঞ্চলের মৎস্য চাষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘রাজশাহীতে এখন মাছের বার্ষিক চাহিদা ৫১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন এবং বর্তমানে এখানে মাছের উৎপাদন বছরে প্রায় ৬৬ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অধিক।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখানে মোট জলাশয়ের নদী ২১ শতাংশ, পুকুর বা দীঘি ২৪ শতাংশ, প্লাবন ২৪ শতাংশ, বিল ১৬ শতাংশ এবং ধানক্ষেতে মৎস্য চাষ ১৩ শতাংশ এবং অন্যান্য ২ শতাংশ আছে। যা থেকে প্রয়োজনীয় মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।’
মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মুহম্মদ আফজাল হুসাইনের সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী, মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা কাজী সোনিয়া আফরিনসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আরো একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের প্রভাষক শামস মো. গালিব। তিনি তাঁর প্রবন্ধে ২০০০ সালে বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
এ সময় উচ্চশিক্ষা মান উন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) আওতায় মাছ সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মাছের বিভিন্ন রোগের নমুনার ছবি উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী অলোক কুমার পাল।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ গতকাল বুধবার শোভাযাত্রা ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি পালন করে।