শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হামলার ঘটনায় সাত শিক্ষকসহ ১৫ জন আহত হন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য এ কে এম নূর-উন নবীর অপসারণসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যাম্পাসের পুলিশফাঁড়ির সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনশনের ২৩তম দিনে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী অনশনকারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা অনশনস্থলের চেয়ার, শামিয়ানা ও ব্যানার ভাঙচুর করে। হামলায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নুরুল হুদা লিটন, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. ফরিদ-উল-ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান এবং রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তারিকুল ইসলামসহ ১৫ জন আহত হন।
এ সময় অনশনকারীদের চিৎকারে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পার্কের মোড় এলাকা অবরোধের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ৩৬টি রাবার বুলেট ছোড়ে ও তাদের ওপর লাঠিপেটা করে। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ প্রমুখ।
হাফিজুর রহমান ও পরিমল চন্দ্র বর্মণ অভিযোগ করে বলেন, উপাচার্যের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আন্দোলন বন্ধ করার জন্য এ জঘন্য হামলা করেছে। পুলিশও এতে মদদ জুগিয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অচল অবস্থা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।