জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাবর্তনের সিদ্ধান্ত
অবশেষে সমাবর্তন পেতে যাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথমবারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। আজ সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘২০১৬ সালের শেষে অর্থাৎ নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে যেন সমাবর্তন দেওয়া যায় আমরা সে চেষ্টা করব।’
কীভাবে সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘এটা আসলে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তাই এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এ জন্য একটা কমিটি করা হবে, তারপর বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে যাওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর বিষয়টি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবেন সে প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘যেভাবে এত অসংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেভাবেই সমাবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে। উই আর অ্যাবল টু ডু দিস (আমরা এটা করতে সক্ষম)। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। মাঝে মাঝে বড় চ্যালেঞ্জও তো নিতে হয়, তাই না?’
এ সময় উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমিয়ে আনতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষা ও ক্লাস শুরুর তারিখ মোট ছয় মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। এ বছর ১ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। এতে শিক্ষার্থীদের ছয় মাস সময় বেঁচে যাবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ছাড়াও সভায় আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে, আসছে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১ অক্টোবর শুরু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে অনার্সের ক্লাস শুরু করা হবে। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট কমে আসবে বলে সভায় মন্তব্য করেন উপাচার্য।
এসবের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরের মূল ক্যাম্পাসে দেড় বছর মেয়াদি ‘মাস্টার্স অব অ্যাডভান্সড স্ট্যাডিজ ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স’ বিষয়ে স্পেশাল মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ভবনের সিনেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. আসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নোমান উর রশীদ ও ডিনরা এতে অংশ নেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের এ সভায় ইউআইটিসির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ অধ্যাপক স্বপন কুমার ঢালী, ইডেন মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ডালিয়া আহমেদসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর চাপ কমাতে ১৯৯২ সালে সরকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে।