টাঙ্গাইলে ১৩ ইউপির ৭ স্বতন্ত্র, নৌকার মাঝি হলেন ৬
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন।
এর আগে বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ঘাটাইল, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে বাসাইল ফুলকী ইউনিয়নে যশিহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনটি ব্যালট পেপারের বই ছিনতাই হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত রাখা হয়। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে ছিনতাই হওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধারের পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
চেয়ারম্যান পদে ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে শহীদুল ইসলাম হেস্টিং জয়লাভ করেন।
বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আতাউল গনি হাবীব, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আল মামুন, ফুলকী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল আলম বিজু ও হাবলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. খোরশেদ খান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উয়ার্শী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মাহবুব আলম মল্লিক, গোড়াই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে হুমায়ুন কবীর, জামুর্কী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ মতিন, বানাইল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাঁশতৈল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল দেওয়ান, ভাতগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল ইসলাম ও মহেড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে নিবাস সরকার মুকুল বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার ১৩টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ছাড়া এ নির্বাচনে সংরক্ষিত ১৪৬ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩টি ইউপি নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের ৮৮৭টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৪ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৬২ হাজার ২২৬ জন মহিলা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।