দুই প্রার্থী পেয়েছেন সমান ভোট, একজনের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রসূলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই সদস্য প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন। এ ফলাফলকে কেন্দ্র করে এক প্রার্থীর বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রসূলপুর ইউনিয়নের উত্তর ভাসানচর এ কে সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার (২৮ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ভোট গণনায় দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে টিউবওয়েল প্রতীকের সদস্য প্রার্থী কামাল খাঁন এবং তালা প্রতীকের শাহে আলম বেপারী সমান ভোট পেয়েছেন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনায় দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জের ধরে শাহে আলম বেপারীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত সাত জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই প্রার্থী একে অপরকে দায়ী করছেন।
শশীভূষণ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তালা প্রতীকের শাহে আলম বেপারী।
অন্যদিকে, টিউবওয়েল প্রতীকের সদস্য প্রার্থী কামাল খাঁন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “ভোট গণনা শেষে আমরা শুনতে পাই টিউবওয়েল প্রতীক দুই ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করে। তখন তালা প্রতীকের সমর্থকেরা এসে আমার সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে বলে—‘কোনো উল্লাস হবে না, কিসের দুই ভোট বেশি পেয়েছে? ভোট সমান সমান হয়েছে।’ এসব কথা বলেই আমার সমর্থকদের ওপর মারধর করে। এতে আমার চার কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”
উত্তর ভাসানচর এ কে সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ছানা উল্যাহ আজম জানান, দুই সদস্য প্রার্থীর ভোটের ফলাফল সমান হয়েছে, তাই ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, টিউবওয়েল প্রতীকের সদস্য প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৭৬৩টি ও তালা প্রতীকের সদস্য প্রার্থী পেয়েছেন ৭৬৩ ভোট। আইন অনুযায়ী, এ দুই প্রার্থীর ভোট পুনরায় নেওয়া হবে।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘বসতবাড়ি, দলীয় কার্যালয় ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’