রংপুর সিটিতে ভোটের প্রচার শেষ, ঝুঁকিপূর্ণ ৮৬ কেন্দ্র
আগামী ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নিয়মানুযায়ী ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ রোববার রাত ৮টায় সব ধরনের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
ইসি থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনি পরিবেশ ঠিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
আজ রোববার রসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আজ রোববার রাত ৮টা থেকে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সব ধরনের নির্বাচনি মাইকিং ও মধ্যরাত থেকে প্রচার প্রচারণা বন্ধ হয়েছে।
এ ছাড়া আজ রাত ১২ টার পর থেকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত রসিক এলাকায় মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ও নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ব্যতীত সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান আবদুল বাতেন।
আবদুল বাতেন আরও বলেন, ‘এবারে রসিক ভোট ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ভোটদানের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে সব ওয়ার্ডে মকভোটিংসহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।’
গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘রসিকে ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। অস্ত্র ছাড়াও পুলিশ, বিজিবি ও আনছার সদস্যরাও সার্বক্ষণিক কেন্দ্রে অবস্থান করবে। এর বাইরে পুরো রসিক এলাকায় ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। আর টহল টিমের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘সবাই যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটার ছাড়া অন্য কেউ ভোট কক্ষের গোপন বুথে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রবেশ করলেই সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বারের মতো রংপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সদ্য বিদায়ী মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী ও ৩৩টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর (মহিলা) পদে ৬৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবার রসিক নির্বাচনে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন আগামী ২৭ ডিসেম্বর।