রামগঞ্জে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেন ভুঁইয়ার একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রার্থী নিজেই ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে ইউনিয়নের চণ্ডীপুর বাজারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়। একই রাতে নৌকা প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামছুল ইসলাম সুমনের দুটি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডীপুর বাজারের নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা কার্যালয়গুলো আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। নির্বাচনকে প্রভাবিত, নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এসব করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার কার্যালয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’
এদিকে, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামছুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘ঈর্ষান্বিত হয়ে গতকাল সোমবার রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন আমার দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করেছে। কাজ করার সময় আমার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
চণ্ডীপুরের রিটানিং কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার বলেন, ‘নৌকা ও মোটরসাইকেলের প্রার্থী পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনাগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রচারণায় কোনো প্রার্থীই যেন প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাধা না দেয়, তার জন্য প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আচরণবিধি অক্ষুণ্ণ রাখতে মাঠে প্রশাসন কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর রামগঞ্জের চণ্ডীপুরসহ ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে নৌকার কামাল হোসেন ও মোটরসাইকেলের শামছুল ইসলাম ছাড়াও আরও পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে শামছুল ইসলাম ও চশমা প্রতীকের ইকবাল হোসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলের বিরুদ্ধে যাওয়ায় গত ১৬ নভেম্বর তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।