স্বাক্ষর জালের অভিযোগে শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউপি নির্বাচন স্থগিত
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পছন্দের প্রার্থীদের জয়ী করানোর উদ্দেশ্যে স্বাক্ষর জাল করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করার অভিযোগ ওঠায় শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে পুনঃতফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শরীয়তপুরে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউপিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণের পর সবকটি পদে নির্দিষ্ট প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অভিযোগ ওঠে, চিতলিয়া ইউপির নয়টি ওয়ার্ডের সদস্য এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পছন্দের প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্য অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করিয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় ইসি সচিবালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহাবুবার রহমান ও কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আবু ইব্রাহীম গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরে তদন্তকাজ শেষ করেন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ইসি ওই ইউপি নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেয়।
জেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদ হাসান মুঠোফোনে বলেন, ‘গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব আমাকে ফোনে জানান, ওখানকার নির্বাচন স্থগিত থাকবে। তবে এ সংক্রান্ত চিঠি এখনও হাতে পাইনি, মঙ্গলবার (আজ) পাব। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’