নেত্রকোনা-৪ আসনে উপনির্বাচন : একক প্রার্থী আ.লীগের সাজ্জাদুল
নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান। আজ সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। আজ ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন শেষ সময় পর্যন্ত আর কোনো প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান লিটন, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, নারী সংসদ সদস্য হাবীবা রহমান খান শেফালী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতিরোধযোদ্ধা অসিত সরকার সজল, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগনেতা নূর খান মিঠু,হাবীবুর রহমান খান রতন, লে. কর্নেল অব. নূর খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান মানিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্পিতা খানম সুমি, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ খান জনিসহ মদন মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরী উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বিকেল ৪টা পর্যন্ত আর কোনো প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি।
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করব। এলাকায় যে উন্নয়ন কাজ চলছে তা এগিয়ে নিতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব। মনোনয়নপত্র জমা শেষে বিকেলে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রেসক্লাবে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই এই আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন মারা যাওয়ায় ১৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসিল দেয়।
তফসিল অনুযায়ী আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। আগামীকাল ২৫ জুলাই বাছাই, ৩১ জুলাই প্রত্যাহার, ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ।
আসনটিতে মোট তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৭৬ হাজার ৯৯ জন পুরুষ আর এক লাখ ৭২ হাজার ৩৫৬ জন নারী। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১২ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৭টি।