নির্বাচনে বিদেশিদের চাপ দেওয়ার অধিকার নেই : ইসি আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিদেশিরা কখনোই আমাদের চাপ দেয়নি। নির্বাচনে আমাদের এ ধরনের চাপ দেওয়ার অধিকার কারও নেই। কারণ আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। নির্বাচন কমিশন সেই স্বাধীন দেশের সাংবিধানিক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আমাদের প্রতি কারও কোনো চাপ নেই। শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিএনপি নির্বাচনে আসার প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল তা বলেছি। এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ আছে বলে আমাদের আইন অনুযায়ী দেখছি না। যদিও তারপরে কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যা কিছু করি না কেনো তা সংবিধানের আলোকে করতে হবে।
অতীতের মতো সেনাবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন হবে কি না প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। অতীতের জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। নির্বাচনে গতকাল পর্যন্ত ৮২ জন বিদেশি পর্যবেক্ষকের আসার তালিকা পেয়েছি। ৪৬ জন বিদেশি সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচনে একটি নীতিমালা রয়েছে। সে নীতিমালা সব সাংবাদিকদের অনুসরণ করতে হবে।’
ইউএনও ও ওসিদের বদলীর বিষয়ে ইসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেছি। সেখানে তাদের (নেতাদের) অভিযোগ ছিল, সরকার প্রশাসনকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিজের মতো করে নিয়েছে। সরকারের অনুকূলে তারা কাজ করেন। এ অবস্থায় প্রশাসনে পরিবর্তন করতে হবে। এটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত ছিল। তাই ওসি ও ইউএনওদের বদলির কথা বলা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময়সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ুর রহমান ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।