নৌকার প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকের বিরুদ্ধে
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডুলা গ্রামে আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এতে নৌকার ছয় কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সজিব জানান, আজ দুপুরের দিকে নির্বাচনি প্রচারণা চালায় তারা। তা শেষ করে তাদের লোকজন দক্ষিণ কৈডোলা হক দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ওই প্রচারণা ক্যাম্পে এসে হাজির হয়। পরে বেশিরভাগ কর্মী-সমর্থক নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলেও অনেকে ক্যাম্পে থেকে যায়। এ সময় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটাসহ অতর্কিত হামলা চালায়। আগুনও লাগিয়ে দেয় তারা।
স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ছুরিকাঘাতে নৌকার সমর্থক স্থানীয় ইউপি সদস্য নিয়ামত আলীসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নিয়ামত আলী (৭০), তার ছেলে যুবলীগ নেতা মো. জাকির হোসেন (৪০), নৌকার সমর্থক মাসুদ রানা (২৭) ও মারুফ হোসেনকে (২২) জামালপুর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা এ হামলা করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। যাদের হুকুমে হামলা করা হয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি ইকরামুল হক নবীন বলেন, নৌকা প্রতীকের ক্যাম্প ভাঙচুর করার কারও সাহস নেই। তারা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।’
এদিকে, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহরাব হোসেন, জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর।
এ বিষয়ে মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, নৌকা ও ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারমারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।