ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ আজ বুধবার (৫ জুন)। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৬০টি উপজেলায় বিরতিহীনভাবে চলবে এ ভোটগ্রহণ। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল রাতেই দুর্গম এলাকার ১৯৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠিয়েছে কমিশন। আজ ভোরে বাকি কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। আগের ধাপগুলোর মতো এ ধাপে কম ভোট পড়তে পারে। একইসঙ্গে সহিংসতা, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের আশঙ্কাও রয়েছে।

ইসির তথ্য মতে, চতুর্থ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়েই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। তবে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারনে স্থগিত হওয়া ২০টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। ফলে ওইদিনই উপজেলা নির্বাচন চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হবে।

চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের দুই কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার ভোট দেবেন।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে সাত হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট বিজিবি মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন ১৯ হাজার ৪৭৮ জন, মোবাইল টিমে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ছয় হাজার তিনজন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ সদস্য থাকবেন দুই হাজার ৬৭৩ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট র‌্যাব মোতায়েন থাকবে ১৫৪টি টিম। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬৬ হাজার ৫৭৯ জন। নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার, দফাদারসহ মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ থেকে ২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

ইতিমধ্যেই তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে পর্যন্ত আচরণবিধি এবং আইনশৃঙ্গলা রক্ষায় প্রতি উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণের তিন দিন পূর্ব থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি তিনটি ইউনিয়নের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।