১ থেকে ১০০০ কোটি, বক্স অফিস হিট সিনেমার তালিকা
হিট আসে-যায়, ফ্লপও আসে-যায়। সুপারহিট, ব্লকবাস্টার, ডিজাস্টার, এভারেজ—এমন তকমা লাগে সিনেমার গায়ে। কিন্তু খুব কম সিনেমাই দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে থাকে দীর্ঘদিন।
অনেক সিনেমাই চিত্রসমালোচকদের প্রশংসায় ভাসে না, দর্শকের নজর কাড়ে। আবার কিছু সিনেমা দর্শক-হৃদয় না গলালেও চিত্রসমালোচকদের প্রশংসায় ভাসে। সিনে-ইন্ডাস্ট্রিতে নানান কথকতা জারি থাকে বলেই মানুষ প্রেক্ষাগৃহমুখী হয় বা অন্য কোনও মাধ্যমে দেখে।
সে যা-ই হোক, ভারতের বক্স অফিসে এমন কিছু মাইলস্টোন রয়েছে, যা আর পুনর্লিখন হবে না। ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড লাইফ বক্স অফিস সংগ্রহে এমন কিছু সিনেমার তালিকা করেছে, যা আপনাকে ভারতীয় সিনেমার স্বর্ণদিন স্মরণ করিয়ে দেবে।
সেই তালিকায় রয়েছে ১৯৫১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রাজ কাপুর অভিনীত আওয়ারা থেকে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া প্রভাস অভিনীত বাহুবলি টু। দেখে নিন কোন সিনেমা ভারতের বক্স অফিসে কত সংগ্রহ করেছে—
তালিকা
১. আওয়ারা (১৯৫১) : নেট ১.২৫ কোটি রুপি (এক কোটির ল্যান্ডমার্ক)
২. মুঘল-ই-আজম (১৯৬০) : নেট ৫.৫০ কোটি রুপি ( পাঁচ কোটির ল্যান্ডমার্ক)
৩. শোলে (১৯৭৫) : নেট ১৫ কোটি রুপি (১৫ কোটির ল্যান্ডমার্ক, এর আগে কোনও সিনেমা ১০ কোটি স্পর্শ করেনি)
৪. হাম আপকে হ্যায় কৌন (১৯৯৪) : নেট ৭২.৪৭ কোটি রুপি (৫০ কোটির ল্যান্ডমার্ক; এর আগে কোনও ভারতীয় সিনেমা ২৫ কোটির ল্যান্ডমার্ক ছুঁতে পারেনি)
৫. গদার : এক প্রেম কথা (২০০১) : নেট ৭৬.৮৮ কোটি রুপি (৭৫ কোটির ল্যান্ডমার্ক)
৬. গজিনি (২০০৮) : নেট ১১৪.১০ কোটি রুপি (১০০ কোটির ল্যান্ডমার্ক)
৭. থ্রি ইডিয়টস (২০০৯) : নেট ২০১.৩৭ কোটি রুপি (২০০ কোটির ল্যান্ডমার্ক, এর আগে কোনও ভারতীয় সিনেমা ১৫০ কোটির ল্যান্ডমার্ক ছুঁতে পারেনি)
৮. ধুম থ্রি (২০১৩) : নেট ২৮৪.২৭ কোটি রুপি (২৫০ কোটির ল্যান্ডমার্ক)
৯. পিকে (২০১৪) : নেট ৩৪০.৮০ কোটি রুপি (৩০০ কোটির ল্যান্ডমার্ক)
১০. বাহুবলি (২০১৫) : নেট ৪২০.০৫ কোটি রুপি (৪০০ কোটির ল্যান্ডমার্ক)
১১. বাহুবলি টু (২০১৭) : নেট ১,১১৫.৬০ কোটি রুপি (১০০০ কোটির ল্যান্ডমার্ক, এর আগে কোনও ভারতীয় সিনেমা ৫০০ থেকে ৯০০ কোটির ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেনি)
তাহলে পরবর্তী সময়ে কে ভাঙছে প্রভাসের বাহুবলি টু সিনেমার রেকর্ড, তা দেখতে সিনেপ্রেমীদের অপেক্ষা করতে হবে।