সবকিছুতে একটা ঝাঁকি লাগবে : সুবর্ণা মুস্তাফা
চলতি বছরে এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে পরিচালক, অভিনয়শিল্পীরা অভিযোগ করছেন, বর্তমানে ভালো চিত্রনাট্যের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের ভিড়ের কারণেও দর্শক কমছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা।
প্রশ্ন : মিডিয়াপাড়ায় একটা অভিযোগ উঠেছে, ভালো গল্পের চিত্রনাট্য সংকট। আপনার কী মনে হয়?
উত্তর : চিত্রনাট্যকারদের অনেক বেশি পড়তে হবে। তাঁদের লেখাপড়ার অভাব, শিক্ষার অভাব। ঘটনা তো মাথার মধ্যে এমনি আসে না। তাঁদের নিজের সাহিত্য পড়ার পাশাপাশি বিদেশি সাহিত্যও পড়তে হবে। ঘটনা অনুসন্ধান করতে হবে। তা না হলে আমরা পিছিয়ে যেতে থাকব। কিছু ভালো চিত্রনাট্য আমাদের দেশে হচ্ছে।
যাঁরা মানসম্মত চিত্রনাট্য লিখছেন, তাঁরা প্রত্যেকে শিক্ষিত।
প্রশ্ন : এ দেশের দর্শক বিদেশি চ্যানেল বেশি দেখছে। এর কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : দর্শক কখনো ভুল করে না। দর্শক যদি আমাদের কাজ না দেখে, তাহলে বুঝতে হবে আমরা তাঁদের কাজ দিয়ে আকর্ষণ করতে পারছি না। তাঁতশিল্প আমাদের নিজস্ব। হয়তো আমরা বলতে পারি, আমাদের দেশে তাঁত আছে, আমরা অন্য দেশের তাঁত পরব না। এভাবে হয়তো তাঁতশিল্পকে আমরা রক্ষা করতে পারি। কিন্তু টেলিভিশন অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্রের আকাশের দরজা সারা পৃথিবীর খোলা।
আমাদের প্রধান ঘাটতি হলো, ভালো চিত্রনাট্য কম এবং সবচেয়ে বিরক্তিকর হলো অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তো চ্যানেলগুলো অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। কিন্তু এখন হয়েছে কী? দর্শক অনুষ্ঠানের ফাঁকে এখন বিজ্ঞাপন দেখে না, বিজ্ঞাপনের ফাঁকে অনুষ্ঠান দেখে। আমাদের অনুষ্ঠানগুলো সঠিক সময়ে কখনো প্রচার হয় না। যেমন ৩টার অনুষ্ঠান দেখা যায় সাড়ে ৩টায় শুরু হয়। অধিকাংশ সময় আমাদের দেশে এই বিষয় আমি লক্ষ করি।
প্রশ্ন : সমস্যাগুলোর সমাধান কীভাবে করা যেত বলে আপনি ভাবেন?
উত্তর : এত দ্রুত সমাধান আসবে না। একটা সময় হবে কি, সবকিছুতে একটা ঝাঁকি লাগবে। তখন অনেক কিছু পরিবর্তন হতে শুরু হবে। বিজ্ঞাপন এজেন্সিতে দায়িত্বরত যাঁরা আছেন, তাঁরা নিজেরা বসে সমস্যাগুলো সমাধান না করলে এটা সমাধান হবে না। আসলে এত বিজ্ঞাপন তো দরকার নেই। বিজ্ঞাপনের মূল্য বাড়িয়ে দিলেও তো হয়। পাঁচ টাকা, দশ টাকার বিজ্ঞাপন দেখানোর দরকার নেই তো।