রাজ্জাককে খুব দরকার ছিল : ফেরদৌস
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাককে হারিয়ে নিজেকে অভিভাবকশূন্য মনে করছেন অভিনেতা ফেরদৌস। এই মুহূর্তে বাংলা চলচ্চিত্রে রাজ্জাকের খুব দরকার ছিল বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাজ্জাককে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ফেরদৌস।
সাংবাদিকদের ফেরদৌস বলেন, ‘যে মুহূর্তে রাজ্জাকের দরকার ছিল, সেই মুহূর্তে তিনি চলে গেলেন। চলচ্চিত্রে এখন সংকট যাচ্ছে। অমরা একজন বড় অভিভাবককে হারালাম।’
আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজ্জাকের মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসক। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার টালিগঞ্জে। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অবুঝ মন’, ‘চোর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘বেইমান’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘রঙবাজ’ ‘ওরা ১১ জন’, ‘আলোর মিছিল;, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘অশিক্ষিত’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘চন্দ্রনাথ’ ও শুভদা।
নায়করাজ ১৯৭৬ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এরপর অশিক্ষিত (১৯৭৮), বড় ভালো লোক ছিল (১৯৮২), চন্দ্রনাথ (১৯৮৪), যোগাযোগ (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে জন্য। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন।
রাজ্জাক প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নায়করাজ শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও সফল। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। সর্বশেষ তিনি ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রের বাইরে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। তাঁর প্রযোজনা সংস্থার নাম রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন।