উপস্থাপনায় লায়লা বানু আমার আদর্শ : জেনিফার
জেনিফার ফেরদৌস। এ সময়ের একজন উপস্থাপক। পড়াশোনা করেছেন আইন বিষয়ে। আইনজীবী না হয়ে উপস্থাপক হওয়ার গল্প ও অন্য আরো বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন জেনিফার।
এনটিভি অনলাইন : শুনেছি, আপনি সংবাদ পাঠিকা হতে চেয়েছিলেন। সংবাদ পাঠিকা হওয়ার আগেই উপস্থাপনার সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?
জেনিফার ফেরদৌস : শখের বশে সংবাদ পাঠিকা হতে চেয়েছিলাম। এটিএন বাংলায় সংবাদ পাঠিকা হিসেবে মিডিয়ায় কাজ করার যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিলাম। সংবাদ পাঠিকা হওয়ার অনুশীলনও আমি করছিলাম। সে সময় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান ভাইকে আমি বলি যে আমি উপস্থাপনাও করতে চাই। তখন তিনি আমাকে উপস্থাপক হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। তাঁর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এরপর সংবাদ পাঠিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ হওয়ার আগেই উপস্থাপনা শুরু করি।
এনটিভি অনলাইন : এখন কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
জেনিফার ফেরদৌস : ‘হারানো সুর’ নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। এর বাইরে বড় ইভেন্টের কিছু অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করছি। শেষবার প্রেমস কালেকশনসের আয়োজনে ব্রাইডাল র্যাম্প শোর উপস্থাপনা করেছি। শোতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকারা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এনটিভি অনলাইন : উপস্থাপনায় কাকে অনুসরণ করছেন?
জেনিফার ফেরদৌস : আমি মনে করি, উপস্থাপনায় লায়লা বানু আমার আদর্শ। খুব ছোটবেলায় তাঁর উপস্থাপনা বিটিভিতে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম আমি। তাঁর কণ্ঠ ও অভিব্যক্তি অসাধারণ। তাঁকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। এ ছাড়া শারমিন লাকী ও চলচ্চিত্র জগতের পূর্ণিমার উপস্থাপনা আমার খুব ভালো লাগে।
এনটিভি অনলাইন : অনেকেই তো উপস্থাপনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন। আপনার কি সে রকম ইচ্ছা আছে?
জেনিফার ফেরদৌস : আমি চলচ্চিত্রের নায়িকা হওয়ারও প্রস্তাব পেয়েছিলাম। সত্যি বলছি, নায়িকা হওয়ার প্রতি আমার কোনো আকর্ষণ নেই। তবে আমি সাহিত্যধর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের গল্পের ওপর চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী। যদি এটা করি, তাহলে নিজের প্রোডাকশন হাউস থেকে করব। আমিই হয়তো প্রযোজনা করব।
এনটিভি অনলাইন : আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
জেনিফার ফেরদৌস : পড়াশোনা করেছি আইন বিষয়ে। তাই ভবিষ্যতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে আছে। আর আপাতত উপস্থাপনা আমার প্রধান লক্ষ্য। এর বাইরে কিছু চিন্তা করতে চাই না।