বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট, এমন গল্পে কী বার্তা দিলেন পরিচালক হিমি?
নাটকের গল্পে দেখা যায়, জোভান মনে মনে কেয়া পায়েলকে ভালোবাসলেও কখনো প্রকাশ করতে পারেন নি। বরং ‘গুড ফ্রেন্ড’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। চাকরির খোঁজে কেয়া পায়েল ঢাকা এসে ওঠেন তার কাজিন জোভানের চিলেকোঠায়। হঠাৎ একদিন পায়েল বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা!
তার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে শুরু করে। কিছুদিন পর নাটকীয়তার মাধ্যমে জোভানও বিষয়টি জানতে পারেন যে, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা কেয়া পায়েল। প্রশ্ন হচ্ছে কে এই অনাগত সন্তানের বাবা, জোভান নাকি অন্য কেউ! এরপর ঘটে ভিন্ন এক ঘটনা।
অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের এমন গল্পভাবনায় নির্মিত হয়েছে নাটক ‘আগন্তুক’, পরিচালনা করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি। মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের প্রযোজনায় কেএস এন্টারটেনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হয়েছে। দু'দিন আগে আগে প্রচারিত হওয়া নাটকটি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখের বেশি দর্শক দেখেছেন। কমেন্ট বক্সে দর্শকদের প্রশংসা সূচক মন্তব্য চোখে পড়েছে দেড় হাজারের অধিক।
নাটকটি প্রচারের পর থেকে দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক রেসপন্স পাচ্ছেন কেয়া পায়েল। তিনি জানান, নাটকে তাকে সচরাচর যে ধরনের চরিত্রে দেখা যায়, ‘আগন্তুক’ তার থেকে একেবারেই আলাদা। অনাকাঙ্ক্ষিত একজনের পৃথিবীতে আগমনের গল্প, এটি নির্মাতা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পায়েল বলেন, জোভানের সঙ্গে এর আগে বহু কাজ করেছি। আগন্তুক নাটকের মাধ্যমে বিশেষ করে দর্শক আমাকে নতুনভাবে পেল।
পরিচালক হিমি বলেন, বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট হয়ে যাওয়াটাকে আমাদের সোসাইটি খারাপভাবে দেখে। নাটকটি নির্মাণের সময় আমি নিজেও কনফিউশনে ছিলাম, কাজটি দেখে দর্শক কি যে বলবে! কিন্তু প্রচারের পর এমনটা হয়নি। আমাদের দর্শকদের চিন্তাভাবনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এই নাটকের মাধ্যমে যে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি, সেটা দর্শক পজিটিভভাবে গ্রহণ করেছেন। আমরা মনে করি এটা আমাদের স্বার্থকতা।