টানা চতুর্থবার জয়ী শতাব্দী
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হলেন শতাব্দী রায়। অনুব্রত মণ্ডল-হীন রাঙামাটির দেশে এই জয় নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই নিয়ে চতুর্থবারের জন্য সংসদে যাচ্ছেন শতাব্দী। একটা সময় যখন অনুব্রত বীরভূমে ছিলেন, অনেকেই বলত, শতাব্দীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব এতটা মধুর নয়।
তিনি সাংসদ হওয়া সত্বেও কোনো জেলার কর্মসূচিতে ডাক পান না বলে অভিমান প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী একটা সময় এমনও রটে গিয়েছিল, শতাব্দী দলের থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন।
যদিও সেসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে শতাব্দী ভীষণভাবে তৃণমূলের সঙ্গেই থেকে গিয়েছেন। বারবার তিনি বলেছেন, এটাই তাঁর দল। এরইমধ্যে গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়া, জেল হেফাজত এবং তারপর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে যাওয়ার ঘটনাক্রমে বীরভূমে হাওয়া ঘুরতে শুরু করে।
জেলার কোর কমিটিতে শতাব্দী রায়ের ক্ষমতা বাড়ে। দায়িত্ব বাড়ে জেলার রাজনীতিতেও। দীর্ঘদিন বীরভূমের সাংসদ হওয়ায় এই কেন্দ্র তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। তবু ভোটপ্রচারে নেমে এবার বারবার শতাব্দীকে ভোটারদেরই নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এমনকী ভোটের দিনও এমন ঘটনা ঘটে।
যদিও শতাব্দী বলেছিলেন, কারও বক্তব্য থাকলে তা তো তিনি জানাবেনই। এটা ক্ষোভ বিক্ষোভের বিষয় নয়। সেই শতাব্দী আবারও সংসদে যাচ্ছেন এবার।