করোনায় রক্ত জমাট বাঁধলে চিকিৎসা কী
নভেল করোনাভাইরাস মহামারিতে নাকাল পুরো বিশ্ব। আমাদের দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাশের দেশ ভারতের মতো বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ ভাইরাস রুখতে তাই প্রয়োজন সচেতনতা এবং সরকার-নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মেনে চলা।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে করোনায় রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের ডা. এ কে জিয়াউল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
করোনার একটি জটিলতা হচ্ছে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। সে ক্ষেত্রে আসলে চিকিৎসা পদ্ধতিটা কী রকম বা কীভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. এ কে জিয়াউল হক বলেন, করোনায় যাদের রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে, তাদের তো আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের মৃদু লক্ষণ, আমরা বলেছি ৮৫ ভাগ জনগোষ্ঠী, যাদের করোনা রয়েছে, তাদের কিন্তু মৃদু লক্ষণ থাকে। তাদের বাসায় আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। তবে এ সময়ে ওরাল মেডিকেশন দিয়ে থাকি, বিভিন্ন ধরনের মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে থাকি। তাদের ইনজেকশন দেওয়া হয় না। এমনকি এ সময় অনেক চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পাশাপাশি রক্ত পাতলা করার ওষুধও দিয়ে থাকেন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রক্ত পাতলা করার ওষুধ পাওয়া যায়, যাতে করে করোনা-পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি না হয়।
ডা. এ কে জিয়াউল হক আরও বলেন, এ সময় আমরা তাদের বলি, করোনা হলে যেহেতু বাইরে বের হওয়া নিষেধ, ঘরের মধ্যে একটু এক্সারসাইজ করার জন্য, কায়িক জীবন যাপন করার জন্য, হাইড্রেশনটা মেইনটেইন করার জন্য। অর্থাৎ প্রচুর পানি খাবেন, বিশেষ করে শরবতজাতীয় খাবার, কিংবা তাজা ফল খাবেন। এভাবে লাইফস্টাইলকে পরিবর্তন করতে হবে। অবশ্যই শুয়ে-বসে থাকবেন না। যাদের মৃদু লক্ষণ রয়েছে, তাদের কিন্তু ওরাল মেডিকেশনের পাশাপাশি ইনজেকটেবলগুলো দেওয়া হয়। যাদের সিভিয়ার সিম্পটম রয়েছে, তাদের ইনজেকটেবলই দেওয়া হচ্ছে এবং ভর্তি রাখা হচ্ছে। করোনা পজিটিভ যাদের, তাদের এভাবে চিকিৎসা করছি।
করোনায় আক্রান্তদের রক্ত জমাট বাঁধলে এবং যাঁরা আক্রান্ত হননি, তাঁদের রক্ত জমাট বাঁধলে কী করণীয়, তার বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।