কৃত্রিম কিডনি কী
অনেকেই কিডনি রোগে ভুগছেন। অনেকের কিডনির কার্যক্ষমতা চলে গেছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কৃত্রিম কিডনি সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কৃত্রিম কিডনি নিয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ সামাদ বলেন, আমাদের সাধারণত মেরুদণ্ডের দুপাশে দুটি কিডনি থাকে। খুব ছোট দুটি কিডনি, হাতের মুষ্টির সমান। কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যেমন আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত ক্রিয়া-বিক্রিয়া হচ্ছে। আর এই ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে অসংখ্য ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। অনেক পদার্থ আছে, সেগুলো যদি আমাদের রক্তে থেকে যায়, তাহলে ওগুলো আমাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সেগুলো থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।
ডা. এম এ সামাদ আরও বলেন, আমরা যে খাবার খাই, সে খাবারে অনেক উপাদান আছে, যেগুলো দরকার নেই। সেগুলোও কিন্তু আসছে। নরমালি সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম; আমরা যে লবণ খাই, এগুলো যদি একটু বেশি হয়ে যায়, সেগুলোর কারণে আমাদের মৃত্যু হতে পারে। কমে গেলেও হতে পারে। আমাদের শরীরে যেসব অপ্রয়োজনীয় পদার্থ আছে, যেগুলো তৈরি হচ্ছে অথবা খাবারের মাধ্যমে ঢুকছে; সেগুলো শরীর থেকে বের করে দেওয়া দরকার। প্রস্রাবের সাথে রক্তকে ছেঁকে আমাদের দেহের জন্য যত অপ্রয়োজনীয় পদার্থ আছে, সেগুলোকে বের করে দেওয়া এবং সেইসাথে যেগুলো প্রয়োজনীয় এবং আমাদের দেহের জন্য যতটুকু লেভেলে থাকা দরকার, সে পরিমাণ রেখে দেওয়ার যে কাজটা, সেটা কিডনি করে।
ডা. এম এ সামাদের ভাষ্য, কিডনিকে বলা হয় ছাঁকনি। প্রয়োজনীয় পদার্থ রেখে অপ্রয়োজনীয় সব পদার্থ বের করে দেয়। এ ছাড়া অনেক হরমোন তৈরি করে। যেমন আমরা লোহিত কণিকা দেখি লাল। এটা কিডনি একটা হরমোন তৈরি করে, সেখান থেকে তৈরি হয়। আমাদের যে রক্তচাপ, সেটা কমে গেলেও মৃত্যু হতে পারে, বেড়ে গেলেও মৃত্যু হতে পারে। ব্যালান্স রাখার কাজটা কিডনি করে থাকে।
কৃত্রিম কিডনি কী এবং এর প্রতিস্থাপন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।