ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রুখতে লকডাউন যথেষ্ট কি?
নভেল করোনাভাইরাস মহামারিতে নাকাল পুরো বিশ্ব। আমাদের দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাশের দেশ ভারতের মতো বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ ভাইরাস রুখতে তাই প্রয়োজন সচেতনতা এবং সরকার-নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মেনে চলা।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইলোরা শারমিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
এই যে লকডাউন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে রুখবার যে প্রয়াস আমাদের, এটি আসলে কতটা জরুরি বলে আপনি মনে করেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ইলোরা শারমিন বলেন, লকডাউনের যে ডিসিশনটা সরকার নিয়েছিল, সেটা খুবই একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, যে সময় লকডাউনটা সরকার দিল আমাদের এখানে, সে সময়টা লকডাউন আসলে খুবই দরকার ছিল। কারণ, ওই সময় আমাদের কিন্তু সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। মানুষের মধ্যে যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সেটাও কিন্তু আবার শিথিল হয়ে যায়। যে কারণে সরকার সঠিক টাইমেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন এটা আসলে জনসাধারণ যেন মানে, সে বিষয়ে সবার নজর রাখতে হবে। দেখা যায় যে লকডাউন যখন দেয়, তখন কিন্তু যারা সাধারণ মানুষ, যেমন খেটে-খাওয়া মানুষ, এরাই কিন্তু বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। যখন লকডাউন শিথিল হয় বা যখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয় বলা হয়, তখন দেখা যায় এ ধরনের মানুষেরাই কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি কম মেনে চলে। সুতরাং আমাদের সবার নজর দিতে হবে যাদের ভোগান্তিটা লকডাউনে বেশি হবে, তারা যেন স্বাস্থ্যবিধিটা বেশি ভালো করে মানে। তাদের এ ব্যাপারে যতটা সচেতন করা যায় এবং এ বিষয়ে তাদের প্রতি যতটা নজর দেওয়া যায়, এটাই হচ্ছে—লকডাউনটা দিলে তাহলে ভোগান্তিটাও কমবে এবং পরবর্তীতে শিথিল হলে ওই মানুষেরা কম সমস্যায় পড়বে।