তরুণদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট?
নভেল করোনাভাইরাস গত বছর থেকে পুরো বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। পাশের দেশ ভারতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার পর সে দেশে মৃত্যুর হার বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। বাংলাদেশেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডা. এ কে এম আমিনুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
যে ভ্যারিয়েন্টটির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, এর বৈশিষ্ট্য কী। সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. আমিনুল হক বলেন, আমাদের আগে যে ভাইরাসগুলো ছিল, তার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। এরা খুব সংক্রমণ করতে পারে। মানে দ্রুত। আর যে শরীরে ঢোকে, ঢুকেই কিন্তু শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা করতে থাকে এবং অল্প দিনের মধ্যেই যারা বেশি আক্রান্ত হয়, তারা মারা যায়। সময় বেশি দেয় না। তার মানে আমরা আগের ভাইরাসগুলোর তুলনায় মোটামুটি তিনটা ব্যতিক্রম দেখি—দ্রুত সংক্রমণ করে, দ্রুত ফুসফুসকে আক্রমণ করে এবং যারা মারা যায়, তারা কম সময়ে মারা যায়। এ জন্যই এটা (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট) খুব ডেঞ্জারাস।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট তরুণদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে? এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. আমিনুল হক বলেন, অপেক্ষাকৃত এটার সমস্যা হলো যে আমাদের ভাইরাসের যে আগের ভ্যারিয়েন্টগুলো, সেগুলোতে আমাদের লোকজন অভিজ্ঞ বা অভ্যস্ত। তারা তো জানে, আগে সর্দি হবে, জ্বর হবে, কাশি হবে, তার পর আস্তে আস্তে অক্সিজেন ফল করবে, তার পর আস্তে আস্তে তাঁর অক্সিজেন লাগবে... তারপর আইসিইউ লাগবে। মানে পর্যায়ক্রমে, দু-তিন সপ্তাহের ব্যাপার। এখন কিন্তু তা নয়। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টগুলো দ্রুত শরীরে ঢুকেই ফুসফুসের ক্ষতি করতে শুরু করে। যে কারণে এত সময় পাওয়া যাবে না। এ জন্য আরলি ডায়াগনসিস দরকার এবং আরলি ট্রিটমেন্ট দরকার। দেরি করার কোনো সুযোগ নেই। দেরি করলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে রোগী।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টসহ বর্তমানে করোনা-পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।