প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাসে থাইরয়েড টেস্ট করা উচিত?
অনেকে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ১০টা ক্রাইটেরিয়া আছে, কাদের আমরা থাইরয়েড হরমোন টেস্ট করব। কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি দেখা যায়, যদি আমরা হাই রিস্ক ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী চেক করি, তাহলে দেখা যায় থার্টি পারসেন্ট পেশেন্ট মিস হয়ে যায়। আমাদের দেশের গাইনোকলোজিস্টরা অনেক আপডেটেড। তাঁরা কিন্তু প্রেগন্যান্সির শুরুতেই থাইরয়েড টেস্ট করে তাঁদের রিস্ক ফ্রি করে দিচ্ছেন। তাঁরা আমাদের কাছে পাঠান এবং তাঁদের থাইরয়েড প্রবলেম থাকলে আমরা সারিয়ে তুলি এবং বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশ হয়ে থাকে।
ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ আরও বলেন, যদি কেউ ট্রিটমেন্ট ডিসকন্টিনিউ করে, তাহলে কিন্তু তাঁর বাচ্চার বুদ্ধি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা একটা বড় ব্যাপার। বাচ্চার হওয়ার পর পরই, সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে বাচ্চার থাইরয়েড হরমোন চেক করতে হয়। যদি ধরা পড়ে, প্রথম দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে যদি চিকিৎসা শুরু করা হয়, তাহলে বাচ্চার হাবাগোবা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। শুরুতেই টেস্ট করলে বাচ্চা সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হতে পারে।
হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।