ভ্যাকসিন নিলে কি রক্ত জমাট বাঁধতে পারে?
নভেল করোনাভাইরাস মহামারিতে নাকাল পুরো বিশ্ব। আমাদের দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনাভাইরাস রুখতে তাই প্রয়োজন সচেতনতা এবং সরকার-নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মেনে চলা এবং অবশ্যই করোনার টিকা গ্রহণ করা ও মাস্ক পরিধান করা।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইলোরা শারমিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
মাস্ক পরা খুবই জরুরি এবং স্বাস্থ্যবিধি তো মানতে হবেই। এ ছাড়া কোভিড ভ্যাকসিনেশন নিয়ে যেহেতু অনেকের মধ্যে এক ধরনের ভয় ছিল যে এটিতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এক ধরনের নিউজ কিন্তু প্রচার হয়েছে। যাঁরা ভ্যাকসিন দেয়নি, তাঁরা কিন্তু একধরনের নিউজ প্রচার করতে চেয়েছেন যে ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। তো এই যে আইডিয়াটা, এটা কতটুকু সত্য? উত্তরে ডা. ইলোরা শারমিন বলেন, স্টাডিতে অ্যাস্ট্রোজেনেকায় দেখা গেছে যে যারা পঞ্চাশের ওপরে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হয়নি। কিন্তু যারা হচ্ছে ইয়াং জেনারেশন, তাদের মধ্যে দেখা গেছে রক্ত জমাট বাঁধার পরিমাণটা বেশি। এর জন্য পরে কিন্তু ওরা ওদের দেশে কানাডা-ইউকে, ওরা যেটা করেছে, অ্যাস্ট্রোজেনেকা... যাদের বয়সটা পঞ্চাশের ওপরে, তাদের ক্ষেত্রে দেওয়ার জন্য বলছে। যারা ইয়াং, তাদের বলা হচ্ছে ফাইজার দেওয়ার জন্য। তো যেটা দেখা গেছে, সেটা এমন বড় আকারে হয়নি। সুতরাং ভ্যাকসিন দিলে যে... কারও কারও এটা হচ্ছে, কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা বা আস্তে আস্তে এটা ৪৮ ঘণ্টা বা এর পরে আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে যাদের সিভিয়ার ফর্ম, এটা শোনা যায়নি। সুতরাং এতটা ভয়ের কিছু নেই। আর দু-একজনের যদি এ ধরনের সাইড ইফেক্ট... বাংলাদেশে আমরা আসলে ওভাবে পাইনি। তো এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
ভ্যাকসিন নিলে জ্বর আসতেই পারে, সেটা স্বাভাবিক। আর এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।